বহুল আলোচিত দিনাজপুরের খানসামায় ১৪৩ নং দক্ষিণ শুশুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমির গাছ কর্তন ও বিদ্যালয়ের জমিতে ফ্লাট বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ২০০১ সালে স্থাপিত হয়ে ২০১৩ সালে তৃতীয় ধাপে এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সরকারি আদেশে বিদ্যালয়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারি বলে গণ্য। সে হিসেবে এই স্কুলটি সরকারি বলে পরিচালিত হয়ে আসছে।

সম্প্রতি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিদ্যালয় জমিতে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রায় বিশ শতক জমি দখল করে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি দিয়েছেন এবং বিদ্যালয়ের জমিতে যে সমস্ত গাছ ছিল সমস্ত গাছ বিধি বহির্ভূতভাবে তিনি কেঁটে ফেলে।

এ বিষয়ে স্থানীয় একজন শিক্ষক বলেন ‘সরকারি সম্পত্তি বিধায় এই স্কুলের জমিতে বাড়ি কিংবা গাছ কর্তন করার কোনো সুযোগ নাই’। যেহেতু সরকারি সম্পত্তি, সে কারণে ওই সম্পত্তি কেউ ভবন নির্মাণ কিংবা ব্যক্তি মালিকানা দাবি করতে পারে না এমনকি হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার (২৯ জুন) গাছগুলি কেটে ফেলেন ওই শিক্ষকের পরিবার এবং গত বছরই জমি দখল করে অর্ধ কোটি টাকা খরচ করে দিয়েছেন ফ্লাট বাড়ি। এমতাবস্থায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ ও স্কুলটি তার সৌন্দর্য হারিয়েছে।

ফলে শিক্ষার্থীদের একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে যে রকম পরিবেশ পাওয়ার কথা সেখান থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে এই কোমলমতি শিশুরা।

এলাকাবাসীর দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে এই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে ভবিষ্যতে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানান।

এ বিষয়ে ঐ শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। উপরন্তু এ বিষয়ে এত কৌতূহল কেন, তাই নিয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘দখল করেছি তাতে কি হয়েছে প্রয়োজনে নয়তলা দিব। আর এটা সবাই জানেন’।